২৩ বছরের ভারতীয় অলরাউন্ডার! চারদিন পর আসা খবরে নেমে এল শোকের ছায়া…

অভিশপ্ত উড়ান কেড়েছে ২৩ বছরের ভারতীয় ক্রিকেটারকেও! চারদিন পর এল মর্মান্তিক বুক ভাঙা খবর। বিশ্বাস হচ্ছে না কারোরই…

গত বৃহস্পতিবারের ঘটনা। এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত দেখতে দেখতে চারদিন হয়ে গেল। ভয়ংকর আমদাবাদ আতঙ্কের রেশ কাটিয়ে উঠতে পারেনি দেশবাসী! এটাই স্বাভাবিক, স্বাধীন ভারতের সবচেয়ে বড় বিমান দুর্ঘটনা যে নাড়িয়ে দিয়েছে…!

এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার, সেদিন আমদাবাদের সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (SVPIA) থেকে দুপুর ১.১৭ মিনিটে টেক অফ করেছিল ২৪২ জনকে নিয়ে! অভিশপ্ত বিমানের আর লন্ডনে যাওয়া হয়নি! কয়েক মিনিটেই সব শেষ হয়ে যায়। এখনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে ওই দুর্ঘটনা কেড়ে নিয়েছে ২৭৪ জনের প্রাণ।

অভিশপ্ত উড়ানে ছিলেন দির্ধ পটেল! ২৩ বছরের প্রতিশ্রুতিবান অলরাউন্ডার আর নেই। চারদিন পর আসা খবরে নেমে এল শোকের ছায়া। লিডস মডার্নিয়ান্স ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে খেলা দির্ধ ছিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত। গুজরাতেই তাঁর শিকড়। হাডার্সফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সম্প্রতি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সম্পন্ন করেছিলেন। প্রযুক্তি শিল্পে কেরিয়ার শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।

বিবিসি-র রিপোর্ট বলছে, প্রাক্তন লেকচারার ডক্টর জর্জ বার্গিয়ানিস তাঁকে ‘ব্যতিক্রমী’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন। দির্ধ তাঁর কোর্সে সর্বোচ্চ গ্রেড পেয়েছিলেন। হাডার্সফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ কম্পিউটিং অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের রিডার বার্গিয়ানিস। তিনি বলেছেন, ‘দির্ধ এমন একজন ছিল, যাকে আমি শুধুই তার শিক্ষাগত দক্ষতার জন্য নয়, বরং তার উষ্ণতা-আবেগ এবং উৎসাহের জন্যও চিনতাম।

দির্ধ সবসময়ই বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে কৌতূহলী ছিল, ক্লাস চলাকালীন সে আমার কাছে এমন সব প্রশ্ন নিয়ে আসত, যা তার গভীর বোধগম্যতারই প্রতিফলন ছিল। বুঝিয়ে দিত ও কীরকম প্রতিশ্রুতিবান ছিল। বড় করে দেখার এবং তার শেখা ছুঁয়ে গিয়েছে। কীভাবে বাস্তব জগতের উপর তা প্রভাব ফেলতে পারে, সেই এক বিরল ক্ষমতা ছিল দির্ধের। তার মৃত্যু বুঝিয়ে দিল জীবন কতটা অনিশ্চিত হতে পারে! দির্ধের পরিবার, বন্ধুবান্ধব, সহপাঠী এবং যারা তাকে জানার সৌভাগ্যবান হয়েছিলেন, তাঁদের সকলের প্রতি আমার সমবেদনা। তাঁর স্মৃতি আমাদের জীবনের অংশ হয়েছে, এটাই সৌভাগ্যের।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *