ব্রেকিং নিউজ: আকস্মিক বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৪, নিখোঁজ ২৫ শিশু

টেক্সাসে আকস্মিক বন্যায় এখন পর্যন্ত অন্তত ২৪ জনের মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। টেক্সাসের কের কাউন্টিতে এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া স্থানীয় কর্তৃপক্ষের মতে, ২৩ থেকে ২৫ জন শিশু এখনো নিখোঁজ রয়েছে।

যারা একটি গার্লস সামার ক্যাম্পে ছিল। যেখানে প্রায় ৭০০ স্কুলপড়ুয়া শিশু উপস্থিত ছিল।
টেক্সাসের গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে এক নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন। তিনি বলেন, নিখোঁজদের জন্য প্রার্থনা চালিয়ে যেতে হবে।

গোটা অঞ্চলে গুয়াদালুপে নদীর আশপাশে উদ্ধার অভিযান চলছে বলে তিনি জানান।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা এখনো ২৩ থেকে ২৫ শিশুকে খুঁজে বের করার জন্য তল্লাশি চালাচ্ছে। টেক্সাসের পার্ক রেঞ্জাররা জানান, তারা নদীর ধারের ক্যাম্পে পৌঁছতে সক্ষম হয়েছেন এবং সেখানে আটকে পড়া কিছু শিশুকে উদ্ধার করেছেন। তবে অনেকে এখনো নিখোঁজ।

গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট আরো বলেছেন, ‘এটা এমন একটি সময়, যখন আমাদের রাজ্য এবং কমিউনিটির জন্য ঈশ্বরের সাহায্য প্রয়োজন।’

টেক্সাসের লেফটেন্যান্ট গভর্নর ড্যান প্যাট্রিক বলেন, ‘৪৫ মিনিটের মধ্যে গুডালুপ নদীর পানি ২৬ ফুট বৃদ্ধি পেয়ে বিপজ্জনক বন্যা সৃষ্টি করেছে।’

কাউন্টি শেরিফ ল্যারি এল লিথা জানান, নিহতদের পরিচয় আপাতত প্রকাশ করা হবে না। কারণ, এখনো স্বজনদের সবাইকে খবর দেওয়া সম্ভব হয়নি। পাঁচটি হেলিকপ্টার এবং উদ্ধারকারীদের ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।

এখন পর্যন্ত ২৩৭ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ জানান, ‘পূর্বাভাসের বিপরীতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল অত্যন্ত বেশি, ফলে বন্যা দেখা দেয়।’

অনেকে জানতে চান, এত ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস থাকার পরও কেন আগেভাগে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়নি। উত্তরে এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘আপনারা পূর্বাভাস পেয়েছিলেন, কিন্তু যা হয়েছিল তা তার চেয়ে অনেক বেশি।’ আরো এক কর্মকর্তা বলেন, যদি আগেভাগে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হতো, তাহলে রাস্তায় বিশৃঙ্খলা তৈরি হতে পারত এবং এতে আরো বেশি মানুষ স্রোতে ভেসে যাওয়ার ঝুঁকিতে পড়তেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *