
ঘরোয়া ক্রিকেটে নজর কাড়ল বিহারের আরও এক কিশোর। বৈভব সূর্যবংশীর পর তার বন্ধু আয়ান রাজ ১৩৪ বলে ৩২৭ রানের ইনিংস খেলল।
ঝড় উঠল বিহারের আরও এক কিশোরের ব্যাটে। চলতি আইপিএলে নজর কেড়েছে বৈভব সূর্যবংশী। রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে তার ব্যাটিং নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বৈভবকে ভবিষ্যতের তারকা মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। সেই বিহারেরই কিশোর আয়ান রাজের ব্যাট থেকে এল ১৩৪ বলে ৩২৭ রানের ইনিংস।
১৪ বছরের বৈভবের ১৩ বছর বয়সি বন্ধু আয়ান বিহারের মুজফ্ফরপুরে একটা ম্যাচে এই রান করেছে। সংস্কৃতি ক্রিকেট অ্যাকাডেমির হয়ে খেলছিল সে। ৩০ ওভারের ম্যাচের মধ্যে ২২ ওভার সে একাই ব্যাট করে। ৪১টা চার ও ২২টা ছক্কা মারে আয়ান। অর্থাৎ, তার ৩২৭ রানের মধ্যে ২৯৬ রান এসেছে বাউন্ডারিতে। ২২০.৮৯ স্ট্রাইক রেটে রান করে আয়ান। তার ব্যাটে ভর করে ম্যাচ জেতে সংস্কৃতি ক্রিকেট অ্যাকাডেমি।
খেলা শেষে আয়ান জানিয়েছে, বৈভবের সঙ্গে তার সম্পর্কের কথা। সে বলে, “যখনই বৈভব ভাইয়ের সঙ্গে কথা হয় খুব ভাল লাগে। ছোটবেলায় আমরা একসঙ্গে খেলতাম। তার পর বৈভব ভাই দেশের হয়ে খেলেছে। এত নাম করেছে। কিন্তু এখনও আমাদের বন্ধুত্ব একই আছে। ওকে দেখে শিখি। ওর মতো হতে চাই।” তবে বৈভবের সঙ্গে আয়ানের একটা তফাত রয়েছে। বৈভব বাঁহাতি ব্যাটার। আয়ান ডানহাতি।
বৈভবের মতো আয়ানেরও ক্রিকেটের হাতেখড়ি তার বাবার হাত ধরে। আয়ানের বাবা নিজেও ক্রিকেটার ছিলেন। ভারতের হয়ে খেলার স্বপ্ন দেখতেন তিনি। কিন্তু তা পূর্ণ হয়নি। ফলে ছেলের মধ্যে দিয়ে সেই স্বপ্ন সত্যি করার চেষ্টা করছেন তিনি। ছেলে এত অল্প বয়সে যে ভাবে খেলছে তাতে বাবা স্বপ্ন দেখতেই পারেন।
মাত্র ১৩ বছর বয়সে ভারতের হয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলেছে বৈভব। আইপিএলের নিলামে রাজস্থান রয়্যালস কিনেছে তাকে। এত অল্প বয়সে কোটি টাকার উপর দাম পেয়ে শিরোনামে এসেছিল বৈভব। শুরুতে রাজস্থানে প্রথম একাদশে সুযোগ না পেলেও এক বার সুযোগ পাওয়ার পর আর তাকে বাইরে রাখা যায়নি। সাতটা ইনিংসে ২৫২ রান করেছে সে। ৩৬ গড় ও ২০৬.৫৫ স্ট্রাইক রেটে রান করেছে। গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে ৩৫ বলে শতরান করেছে বৈভব, যা আইপিএলে কোনও ভারতীয়ের করা দ্রুততম শতরান।