রোনালদো কেন পায়ে নেইলপলিশ লাগান

পায়ের নখে নেইলপলিশ—সাধারণত এমন চিত্র নারীদের মধ্যেই দেখা যায়। তাই যদি কোনো পুরুষের পায়ে নেইলপলিশ দেখা যায়, চোখে পড়াটাই স্বাভাবিক। আর যদি সেটি হন খোদ ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর মতো তারকা, তাহলে তো আলোচনার ঝড় উঠবেই।

গতকাল নিজের ছেলের সঙ্গে একটি ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছেন আল নাসরের পর্তুগিজ সুপারস্টার।

ছবিতে তার পায়ের নখে স্পষ্ট দেখা গেছে কালো রঙের নেইলপলিশ। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে—রোনালদোর পায়ে নেইলপলিশ কেন?
তবে উত্তরটি যতটা ‘অলংকার’, তার চেয়েও বেশি ‘অস্ত্র’। বিষয়টি আসলে রোনালদোর ফুটবল সচেতনতারই বহিঃপ্রকাশ। খেলার সময় প্রতিপক্ষের ট্যাকল, হঠাৎ ধাক্কা কিংবা জুতার চাপের কারণে পায়ের নখ ভেঙে যাওয়া কিংবা ফেটে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।

বিশেষত কালো রঙের নেইলপলিশ নখের উপর একটি প্রতিরক্ষামূলক স্তর তৈরি করে, যা নখকে রাখে শক্ত এবং ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ থেকে সুরক্ষিত।

শুধু রোনালদোই নন, বিশ্বজুড়ে অনেক পেশাদার ক্রীড়াবিদের মধ্যে পায়ের নখে নেইলপলিশ ব্যবহারের প্রবণতা বাড়ছে। মিক্সড মার্শাল আর্টস (এমএমএ) ফাইটারদের মধ্যে তো এটি এখন একধরনের ট্রেন্ড।

তাদের থেকেই অনুপ্রাণিত হয়ে অনেক ফুটবলারও এই অভ্যাস গ্রহণ করছেন।
বলা হচ্ছে, ঘাম, ধুলা ও সংক্রমণ ঠেকাতে নেইলপলিশ কার্যকর ভূমিকা রাখে। একজোড়া ফুটবল বুটের ভেতর ঘণ্টার পর ঘণ্টা পা থাকা—স্বাভাবিকভাবেই সেখানে ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাস জন্মাতে পারে। নেইলপলিশ সেই ঝুঁকি কমায়।

বিষয়টি নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে।

যুক্তরাজ্যের রয়্যাল কলেজ অব পোডিয়াট্রির মুখপাত্র ড. হেলেন ব্রান্থওয়েট জানান,
‘মানুষের পায়ে রয়েছে প্রায় আড়াই লাখ ঘামগ্রন্থি। প্রতিদিন গড়ে এক পোয়া পরিমাণ ঘাম তৈরি হয় পায়ে। এ থেকে সহজেই ছত্রাক সংক্রমণ হতে পারে, যেটা প্রথমে চামড়ায় ও পরে নখে ছড়িয়ে পড়ে।’
তার মতে, নেইলপলিশ একদিকে যেমন কিছুটা সুরক্ষা দেয়, তেমনি মূল সংক্রমণের জায়গা—চামড়ায় যদি চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *