একটুর জন্য সেঞ্চুরি মিস লিটনের, আক্ষেপ মুশফিকেরও

১০ রানের জন্য সেঞ্চুরি হয়নি লিটনের। ১২৩ বলে ৯০ রান করে সব্যসাচী স্পিনার থারিন্দু রাতনায়াকেকে উইকেট দিয়েছেন তিনি। লিটন আউট হওয়ার আগের ওভারে আক্ষেপের জন্ম দিয়েছেন মুশফিকুর রহিমও। মুশফিকের তিনটি ডাবল সেঞ্চুরির প্রথমটি এই শ্রীলঙ্কানদের বিপক্ষে, আজও চতুর্থ ডাবল সেঞ্চুরির পথে হাঁটছিলেন তিনি। কিন্তু আসিথা ফার্নান্দোর ওভারে কাটা পড়েছেন ১৬৩ রানে।

মুশফিক-লিটন জুটি মাঠে নেমেছিল প্রায় আড়াই ঘণ্টা বৃষ্টির ঝক্কি মাথায় নিয়ে। গলে বৃষ্টির কারণে দীর্ঘ সময় ম্যাচ বন্ধ ছিল। তখন লিটন ৬৪ ও মুশি ১৫৯ রান নিয়ে অপরাজিত ছিলেন। তারা দুজন ফিরে যাওয়ার পর ৬ উইকেটে স্কোরবোর্ডে বাংলাদেশের রান এখন ৪৬৬। ২ রান নিয়ে জাকের আলী অনিক ও ৬ রান নিয়ে ব্যাট করছেন নাঈম হাসান।

এর আগে সকালে আগের দিনের অবিচ্ছিন্ন জুটি নিয়ে মাঠে নামে বাংলাদেশ। সকালের সেশনে ভালো খেলতে থাকা অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত মিডঅফে আসিথা ফার্নান্দোর বলে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন। তাতে ভাঙে ২৬৪ রানের জুটি। আউট হওয়ার আগে ২৭৯ বলে ১৫ চার ও ১ ছক্কায় ১৪৮ রান করেন টাইগার কাণ্ডারি।

এরপর লিটনের সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে চারশ পার করে দেন মুশফিক। দুজনের ব্যাটে যখন রানের ফোয়ারা বইয়ে চলছিল তখন গলের আকাশ বাধা হয়ে গতিরোধ করলো। ভর দুপুরে নেমে আসে সন্ধ্যার অন্ধকার। যে কারণে সাময়িকভাবে খেলা বন্ধ করতে বাধ্য হন আম্পায়াররা। এর পরপরই নামে বৃষ্টি। মাঠকর্মীরা ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েন মাঠ কাভারে ঢাকতে। টেস্টে বাংলাদেশের ইনিংসের ১৩১তম ওভারের দ্বিতীয় বলের পর আলোকস্বল্পতায় খেলা বন্ধ হয়ে যায়। বৃষ্টি থামলে প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর শুরু হয় ম্যাচ। তাতে কমে যায় দিন থেকে ১৮ ওভার। পুরো দিনে খেলা হবে মোট ৭২ ওভার।

প্রথম দিন টস জিতে ব্যাট করতে নামার পর ৪৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়েছিল বাংলাদেশ। এনামুল হক বিজয় শূন্য, সাদমান ইসলাম ১৪ আর মুমিনুল হক ২৯ রান করে বিদায় নেন। টপ অর্ডারের ব্যর্থতার পর হাল ধরে প্রথম দিন শেষ করেন মুশফিক ও শান্ত। দ্বিতীয় দিনে ভাঙে দুজনের ২৬৪ রানের জুটি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *